ঘোড়ার ডিম। আমি কিচ্ছু করি না, শুধু খাই-দাই-ঘুমাই। অন্যেরা জোরপূর্বক আমাকে পড়ায়।
- 20 Posts
- 9 Photos
- 0 Videos
- I am a student at Government Gurudayal college
- Lives in Kishoregonj
- From Pakundia
- Studied Science at Pakundia Pilot School
- Single
- Followed by 41 people
Friends 42
Recent Updates
- Please log in to like, share and comment!
-
- বিড়াল তপস্বীকে কখনো বিশ্বাস করবেন নাবিড়াল তপস্বীকে কখনো বিশ্বাস করবেন না
-
- কালের বিবর্তনে হারিয়ে যায় দেশ-বিদেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, এমন কি কখনো মুছে যায় পুরোনো দিনের শেষ চিহ্ন টুকুও।
তেমনি ইতিহাস বিবেচনা করলে আমরা পাকুন্দিয়াবাসীও হারিয়েছি অনেক বেশি কিছু।
পাকুন্দিয়ার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তেমনি ইতিহাসের পাতা থেকেও মুছে গেছে এক কালের বিখ্যাত স্থান ও জনপদের নাম গুলিও।
মধ্যযুগে বাংলার দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও তার প্রধান শাসন কর্তা ইশা খানের প্রধান দুর্গের চিহ্নটুকুও নেই পাকুন্দিয়ার গর্ব এগারসিন্ধুরে।
অনেকেই হয়ত জানি না সেই সময়ে এক দেশ বিখ্যাত বন্দর ছিল কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর তীরে।
মরা নদী নরসুন্দা যদিও মৃতপ্রায় অবস্থায় তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে কিন্তু বন্দরের শেষ চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হয়ত শত বছর আগে থেকেই।
হ্যাঁ সেই বিখ্যাত নদী বন্দর ও বানিজ্যিক এলাকার অবস্থান ছিল জাংগালিয়া ইউনিয়নে নরসুন্দা নদীর তীরে দগদগা নামক স্থানে যার নাম ছিল দগদগা বন্দর।
মধ্যযুগের পারস্যের বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা তার বাংলায় ভ্রমন সংক্রান্ত একটি বর্ননায় দগদগা বন্দরের কথা উল্লেখ করে গেছেন।
হয়ত এখন দগদগায় বসবাসকারী লোকজনেই জানে না এটি ছিল এককালের একটি জনবহুল উন্নত জনপদ।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যায় দেশ-বিদেশ তথা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, এমন কি কখনো মুছে যায় পুরোনো দিনের শেষ চিহ্ন টুকুও। তেমনি ইতিহাস বিবেচনা করলে আমরা পাকুন্দিয়াবাসীও হারিয়েছি অনেক বেশি কিছু। পাকুন্দিয়ার ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তেমনি ইতিহাসের পাতা থেকেও মুছে গেছে এক কালের বিখ্যাত স্থান ও জনপদের নাম গুলিও। মধ্যযুগে বাংলার দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও তার প্রধান শাসন কর্তা ইশা খানের প্রধান দুর্গের চিহ্নটুকুও নেই পাকুন্দিয়ার গর্ব এগারসিন্ধুরে। অনেকেই হয়ত জানি না সেই সময়ে এক দেশ বিখ্যাত বন্দর ছিল কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর তীরে। মরা নদী নরসুন্দা যদিও মৃতপ্রায় অবস্থায় তার অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে কিন্তু বন্দরের শেষ চিহ্নটুকুও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হয়ত শত বছর আগে থেকেই। হ্যাঁ সেই বিখ্যাত নদী বন্দর ও বানিজ্যিক এলাকার অবস্থান ছিল জাংগালিয়া ইউনিয়নে নরসুন্দা নদীর তীরে দগদগা নামক স্থানে যার নাম ছিল দগদগা বন্দর। মধ্যযুগের পারস্যের বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা তার বাংলায় ভ্রমন সংক্রান্ত একটি বর্ননায় দগদগা বন্দরের কথা উল্লেখ করে গেছেন। হয়ত এখন দগদগায় বসবাসকারী লোকজনেই জানে না এটি ছিল এককালের একটি জনবহুল উন্নত জনপদ। - তোমার নয়নের মাঝে আমার- নয়ন ফেলিয়া,
বাইন্ধা ছিলাম দুই'টা জীবন- মায়াতে বাইন্ধিয়া ৷
তুমি বোঝিবা যেদিন সেদিন-
ভিজাই'বা সময় কান্দিয়া-কান্দিয়া ৷তোমার নয়নের মাঝে আমার- নয়ন ফেলিয়া, বাইন্ধা ছিলাম দুই'টা জীবন- মায়াতে বাইন্ধিয়া ৷ তুমি বোঝিবা যেদিন সেদিন- ভিজাই'বা সময় কান্দিয়া-কান্দিয়া ৷ - পাকুন্দিয়া নেটওয়ার্কে এ আপনার পেইজ বা আইডি কিভাবে ভেরিফিকেশন করবেন??
## আইডি বা প্রোফাইল ভেরিফিকেশন:
যা যা লাগবে: মোবাইল নাম্বার, ফটো আইডি এবং ৫০ জনের বেশি ফ্রেন্ড বা ফলোয়ার।
১. একাউন্ট খোলার পর ইমেইল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করুন।
২. একাউন্ট খুলার পর প্রথমে প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো, সোস্যাল লিংক যোগ করুন এবং যথাযথ তথ্য দিয়ে আপনার প্রোফাইল পুর্ণ করুন।
৩. আপনার প্রোফাইলে গিয়ে Setting >> Verification এ গিয়ে ভেরিফিকেশন রিকয়েষ্ট পাঠান।
৪. রিকয়েষ্ট পাঠাতে আপনার আপনার সদ্য তোলা ফটো, ফটো আইডি (জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) এর স্ক্যান কপি এবং টেক্সটবক্সে আপনার বর্তমান ও সচল মোবাইল নাম্বার, ইমেইল লিখে পাঠান আমাদেরকে।
৫. সব কিছু ঠিক থাকলে পরবর্তি কয়েক দিনের মাঝেই আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে। অথবা আপনার মোবাইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এবং কোড টি ফেরৎ চেয়ে একটি ইমেইল পাঠানো হবে। রিপ্লে ইমেইলে আপনার কোডটি আমাদেরকে পাঠাতে হবে।
উপরের প্রকৃয়াগুলি সফলভাবে সম্পন্ন করলেই আপনার একাউন্টটি কিছু সময়ের মাঝেই ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।
.
## পেইজ ভেরিফিকেশন:
যা যা লাগবে: মোবাইল নাম্বার, ফটো আইডি বা ট্রেড লাইসেন্স এবং ৫০টির বেশি Like বা Follower.
১. একাউন্ট তৈরী করে প্রথমে প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো যোগ করুন এবং যথাযথ তথ্য দিয়ে পেইজ ইনফরমেশন পুর্ণ করুন।
৩. আপনার পেইজে গিয়ে Setting >> Verification এ গিয়ে ভেরিফিকেশন রিকয়েষ্ট পাঠান।
৪. রিকয়েষ্ট পাঠাতে আপনার আপনার সদ্য তোলা ফটো, ফটো আইডি (জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/ট্রেড লাইসেন্স) এর স্ক্যান কপি এবং টেক্সটবক্সে আপনার বর্তমান ও সচল মোবাইল নাম্বার, ইমেইল লিখে পাঠান আমাদেরকে।
৫. সব কিছু ঠিক থাকলে পরবর্তি কয়েক দিনের মাঝেই আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে। অথবা আপনার মোবাইলে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এবং কোড টি ফেরৎ চেয়ে একটি ইমেইল পাঠানো হবে। রিপ্লে ইমেইলে আপনার কোডটি আমাদেরকে পাঠাতে হবে।
** ক্ষেত্র বিশেষে ফ্রেন্ড/ফলোয়ারের সংখ্য শিথিলযোগ্য।
উপরের প্রকৃয়াগুলি সফলভাবে সম্পন্ন করলেই আপনার পেইজটি কিছু সময়ের মাঝেই ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে। - আমিও এমন বাবু ছিলাম, একদিন এমন আম্মু হব :relaxed:আমিও এমন বাবু ছিলাম, একদিন এমন আম্মু হব :relaxed:
- পাকুন্দিয়া ডট কম ব্যবহার করে পয়েন্ট উপার্জন করুন ও তা ব্যবহার করে সাইটটিতে বিজ্ঞাপন দিন। প্রতি পোষ্টের জন্যে ১০ পয়েন্ট, কমেন্ট ৪ পয়েন্ট ও লাইক ২ পয়েন্ট। আর প্রতি ১০০০ পয়েন্ট সমান = ৮০ টাকা। এছাড়াও আপনার রেফারেলে নতুন কোন ইউজার রেজিষ্ট্রেশন করলে $.05 করে পাবেন। যাদের বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলায় শুধুমাত্র তারাই এ সুযোগ নিতে পারবেন।
- শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নুরুল ইসলাম নাহিদকে হারানোয় একটি বিদায়ী মানপত্র
--------------------------------------
'পড়াশোনার জগতে তুমি প্রশ্নের দিশারী
উর্ধ্বশিরে তুমি বরেণ্য
তুমি অসাধারণ, তুমি প্রশ্ন ফাঁসের জনক'
একাদশ সংসদের প্রারম্ভে দেশ ও জাতি যখন দুলছে দিন বদলের দোলায়, নতুন বছরের হাওয়া লাগছে গায়ে, ঠিক তখনই এক বেদনা বিধুর সংবাদে এই জাতি আজ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত রাজপথে। শিক্ষামন্ত্রীর এমন অকস্মাৎ বিদায়ে জাতি আজ শোকাহত, মর্মাহত।
হে বিদায়ী মন্ত্রী,
লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে মন্ত্রীত্বের প্রথম ভাগে আপনি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যতটুকু এগিয়ে দিয়েছিলেন, তা ভোলার নয়। আপনার 'বই উৎসব' আমাদের মনে দিয়েছিল আনন্দের দোলা। আপনি ছিলেন দাবার বোর্ডের মন্ত্রীর মত। চারিদিকে বিচরণের ক্ষমতা নিয়ে এই বাংলার শিক্ষার অগ্রগতিতে আপনার আগ্রাসী ভূমিকা জাতি ভুলবে না। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আপনি হয়ে পড়লেন আমাদের বিনোদন ভিত্তিক পড়াশোনার ধারক। ব্যাকবেঞ্চারদের জন্য হয়ে উঠলেন বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আপনার অব্যাহতির সংবাদ হৃৎপিন্ডে ছুরিকাঘাতের মত যন্ত্রণা হয়েছে। হে শিক্ষাগুরু, আমাদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকুন চিরকাল।
হে প্রশ্ন ফাঁসের ধারক,
যুগোপযোগী পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ণ করে পরীক্ষার আগের রাতে আমাদের হাতে প্রশ্ন পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাভীতি দূর করেছেন আপনি। পরীক্ষা নামক মহামারিতে আমরা আর ভুগি না। সঠিক ও কমন প্রশ্ন নিয়ে আমরা নিজেদের মেধার সদ্ব্যাবহার করে উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি কেবল আপনারই অবদানে। পরীক্ষার আগে এখন আর বাবা-মায়েরা বাসার নেটের লাইন কেটে দেয় না, বরং পরীক্ষা সামনে থাকলে বাসায় লাগিয়ে দেয় ওয়াইফাই কানেকশন। পরীক্ষার আগের রাতে এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যায় ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপেই। যুগে যুগে আপনার মতো আধুনিক শিক্ষামন্ত্রী জন্ম নেবে না। আপনার অবদান নিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। যদি তোলেও, হয়তো সেই প্রশ্নটিও ফাঁস হয়ে যাবে।
হে পরীক্ষার্থীর শেষ ভরসা,
আপনার হৃদয়ের বিশালতায় ডুবেছিলাম বারবার। পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে দিশেহারা ছাত্র পথ খুঁজে পেয়েছে, সে তো কেবল আপনারই বদান্যতায়। প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে না পেয়ে আমরা যখন দিগ্বিদিক ঘুরছি, তখন সঠিক উত্তরের ফেরিওয়ালা হয়ে আপনি আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন, সেই অবদান কি কখনো ভোলা যায়! পরীক্ষায় সফলতার সাথে পাশ করে, এ প্লাস পেয়েও তাই আমরা আপনাকে ভুলে যাইনি। আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য হতাশা, তারা আপনার মত শিক্ষামন্ত্রীর ছোঁয়া পাবে না। পরীক্ষার আগের রাতটা হয়তো ফেসবুকে মেসেঞ্জারে প্রশ্ন খুঁজে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা পুড়বে আপনাকে হারানোর বেদনায়।
হে সৃজনশীলতার পৃষ্ঠপোষক,
ঘুমিয়ে আছে লেখক-সাহিত্যিক, সব শিক্ষার্থীর অন্তরে--সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রণয়ণ করে লেখার স্বাধীনতা দিয়ে বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য লেখক তৈরি করে বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধশালী করেছেন আপনি। আমরা সবাই লেখক আমাদের এই পরীক্ষার রাজত্বে। যেমন খুশি তেমন লিখে যাই নির্ভয়ে। শিক্ষাবিজ্ঞানকে আপনি সমৃদ্ধ করেছেন নতুন নতুন সৃজনশীল তত্ত্ব দিয়ে। আপনার অব্যাহতির শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে না কেউ।
হে সহনীয় মাত্রার উদ্ভাবক,
সহনীয় মাত্রার ঘুষে উৎসাহিত করে আমাদের প্রতি আপনার ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। মাত্রাহীন ঘুষের চাপে ঘুষ দিতে দিতে জাতি যখন দিশেহারা, সেই মুহুর্তে আপনিই বেঁধে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন ঘুষের পরিমাণ। ঘুষের অসহনীয় দৌরাত্মকে সহনীয় মাত্রায় আনতে চেয়েছিলেন আপনি! আজকের এই বেদনা বিধুর সন্ধ্যায় আপনাকে মন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। যেতে নাহি দিবো হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়...
পরিশেষে, আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনার শূণ্যতা অপূরণীয়। যদি আর কখনো প্রশ্ন ফাঁস নাও হয়, তবু আমাদের মন থেকে আপনাকে কেউ ফাঁস করতে পারবে না! আপনি মহানুভব, আপনি অনন্য, আপনি অদ্বিতীয়।শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নুরুল ইসলাম নাহিদকে হারানোয় একটি বিদায়ী মানপত্র -------------------------------------- 'পড়াশোনার জগতে তুমি প্রশ্নের দিশারী উর্ধ্বশিরে তুমি বরেণ্য তুমি অসাধারণ, তুমি প্রশ্ন ফাঁসের জনক' একাদশ সংসদের প্রারম্ভে দেশ ও জাতি যখন দুলছে দিন বদলের দোলায়, নতুন বছরের হাওয়া লাগছে গায়ে, ঠিক তখনই এক বেদনা বিধুর সংবাদে এই জাতি আজ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে। চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে তপ্ত রাজপথে। শিক্ষামন্ত্রীর এমন অকস্মাৎ বিদায়ে জাতি আজ শোকাহত, মর্মাহত। হে বিদায়ী মন্ত্রী, লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে মন্ত্রীত্বের প্রথম ভাগে আপনি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে যতটুকু এগিয়ে দিয়েছিলেন, তা ভোলার নয়। আপনার 'বই উৎসব' আমাদের মনে দিয়েছিল আনন্দের দোলা। আপনি ছিলেন দাবার বোর্ডের মন্ত্রীর মত। চারিদিকে বিচরণের ক্ষমতা নিয়ে এই বাংলার শিক্ষার অগ্রগতিতে আপনার আগ্রাসী ভূমিকা জাতি ভুলবে না। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আপনি হয়ে পড়লেন আমাদের বিনোদন ভিত্তিক পড়াশোনার ধারক। ব্যাকবেঞ্চারদের জন্য হয়ে উঠলেন বন্ধুর চেয়েও বেশি কিছু। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আপনার অব্যাহতির সংবাদ হৃৎপিন্ডে ছুরিকাঘাতের মত যন্ত্রণা হয়েছে। হে শিক্ষাগুরু, আমাদের আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। ভালোবাসায় সিক্ত হতে থাকুন চিরকাল। হে প্রশ্ন ফাঁসের ধারক, যুগোপযোগী পরীক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ণ করে পরীক্ষার আগের রাতে আমাদের হাতে প্রশ্ন পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষাভীতি দূর করেছেন আপনি। পরীক্ষা নামক মহামারিতে আমরা আর ভুগি না। সঠিক ও কমন প্রশ্ন নিয়ে আমরা নিজেদের মেধার সদ্ব্যাবহার করে উচ্চশিক্ষার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি কেবল আপনারই অবদানে। পরীক্ষার আগে এখন আর বাবা-মায়েরা বাসার নেটের লাইন কেটে দেয় না, বরং পরীক্ষা সামনে থাকলে বাসায় লাগিয়ে দেয় ওয়াইফাই কানেকশন। পরীক্ষার আগের রাতে এখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যায় ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপেই। যুগে যুগে আপনার মতো আধুনিক শিক্ষামন্ত্রী জন্ম নেবে না। আপনার অবদান নিয়ে কেউ কখনো কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না। যদি তোলেও, হয়তো সেই প্রশ্নটিও ফাঁস হয়ে যাবে। হে পরীক্ষার্থীর শেষ ভরসা, আপনার হৃদয়ের বিশালতায় ডুবেছিলাম বারবার। পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন পেয়ে দিশেহারা ছাত্র পথ খুঁজে পেয়েছে, সে তো কেবল আপনারই বদান্যতায়। প্রশ্নের সঠিক উত্তর খুঁজে না পেয়ে আমরা যখন দিগ্বিদিক ঘুরছি, তখন সঠিক উত্তরের ফেরিওয়ালা হয়ে আপনি আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন, সেই অবদান কি কখনো ভোলা যায়! পরীক্ষায় সফলতার সাথে পাশ করে, এ প্লাস পেয়েও তাই আমরা আপনাকে ভুলে যাইনি। আমাদের উত্তরসূরিদের জন্য হতাশা, তারা আপনার মত শিক্ষামন্ত্রীর ছোঁয়া পাবে না। পরীক্ষার আগের রাতটা হয়তো ফেসবুকে মেসেঞ্জারে প্রশ্ন খুঁজে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা পুড়বে আপনাকে হারানোর বেদনায়। হে সৃজনশীলতার পৃষ্ঠপোষক, ঘুমিয়ে আছে লেখক-সাহিত্যিক, সব শিক্ষার্থীর অন্তরে--সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি প্রণয়ণ করে লেখার স্বাধীনতা দিয়ে বাংলা সাহিত্যে অসংখ্য লেখক তৈরি করে বাংলা সাহিত্যকে আরও সমৃদ্ধশালী করেছেন আপনি। আমরা সবাই লেখক আমাদের এই পরীক্ষার রাজত্বে। যেমন খুশি তেমন লিখে যাই নির্ভয়ে। শিক্ষাবিজ্ঞানকে আপনি সমৃদ্ধ করেছেন নতুন নতুন সৃজনশীল তত্ত্ব দিয়ে। আপনার অব্যাহতির শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে না কেউ। হে সহনীয় মাত্রার উদ্ভাবক, সহনীয় মাত্রার ঘুষে উৎসাহিত করে আমাদের প্রতি আপনার ভালোবাসার প্রমাণ দিয়েছেন। মাত্রাহীন ঘুষের চাপে ঘুষ দিতে দিতে জাতি যখন দিশেহারা, সেই মুহুর্তে আপনিই বেঁধে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন ঘুষের পরিমাণ। ঘুষের অসহনীয় দৌরাত্মকে সহনীয় মাত্রায় আনতে চেয়েছিলেন আপনি! আজকের এই বেদনা বিধুর সন্ধ্যায় আপনাকে মন্ত্রীত্ব থেকে বিদায় জানাতে হচ্ছে। যেতে নাহি দিবো হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়... পরিশেষে, আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনার শূণ্যতা অপূরণীয়। যদি আর কখনো প্রশ্ন ফাঁস নাও হয়, তবু আমাদের মন থেকে আপনাকে কেউ ফাঁস করতে পারবে না! আপনি মহানুভব, আপনি অনন্য, আপনি অদ্বিতীয়।
More Stories