- Followed by 35 people
Friends 36
Recent Updates
- - বাবা একটা কথা ছিল।
- বলে ফেল।
- আমার কোন উন্নতি হয় না কেন?
শ্বশুড় সাহেব ল্যাপটপ থেকে চোখ সড়িয়ে চয়নের দিকে তাকালেন। মিস্টি হেসে বললেন,
- তুমি কি ভোরের পাখির ডাক শুনেছ? যে পাখি সুর্য ওঠার আগে কিচিরমিচির শুরু করে?
- শুনেছি।
- তুমি কি পাহাড় দেখেছ, যে পাহাড় মাথা উচু করে আছে সমুদ্রের মাঝে?
- দেখেছি।
- তুমি কি ঘ্রাণ পেয়েছ সেই ফুলের যা ফোটে মধ্যরাতে?
- জি পেয়েছি।
- তাইলে তুমি উন্নতি করবা কেমনে? দুনিয়ার আজাইরা সব জিনিসের দিকে তোমার খেয়াল। ফুল পাহাড় লতা পাতা নিয়া থাকলে তো হবে না, কাজে মন দাও পাগল।
- বাবা একটা কথা ছিল। - বলে ফেল। - আমার কোন উন্নতি হয় না কেন? শ্বশুড় সাহেব ল্যাপটপ থেকে চোখ সড়িয়ে চয়নের দিকে তাকালেন। মিস্টি হেসে বললেন, - তুমি কি ভোরের পাখির ডাক শুনেছ? যে পাখি সুর্য ওঠার আগে কিচিরমিচির শুরু করে? - শুনেছি। - তুমি কি পাহাড় দেখেছ, যে পাহাড় মাথা উচু করে আছে সমুদ্রের মাঝে? - দেখেছি। - তুমি কি ঘ্রাণ পেয়েছ সেই ফুলের যা ফোটে মধ্যরাতে? - জি পেয়েছি। - তাইলে তুমি উন্নতি করবা কেমনে? দুনিয়ার আজাইরা সব জিনিসের দিকে তোমার খেয়াল। ফুল পাহাড় লতা পাতা নিয়া থাকলে তো হবে না, কাজে মন দাও পাগল।Please log in to like, share and comment! - #কবর
______জসীমউদ্দীন
-----------------------------
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মত মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা।
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত
এ-কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত।
এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে
ছোট-খাটো তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে।
বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা
''আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু, উজান-তলীর গাঁ।''
শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু-পয়সা করি দেড়ী,
পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি।
দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে,
সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে!
হেসো না-হেসো না- শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে
দাদী যে তোমার কত খুশি হত দেখতিস যদি চেয়ে!
নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ''এতদিন পরে এলে,
পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেদে মরি আঁখিজলে''।
আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়,
কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়!
হাতজোড় করে দোয়া মাঙ- দাদু, 'আয় খোদা দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।'
তারপর এই শূন্য জীবনে কত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহার জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয় গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,
আয়- আয় দাদু, গলাগলি ধরি- কেঁদে যদি হয় সুখ।
এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা,
কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না।
সেই ফাল্গুনে বাপ তোর আসি কহিল আমারে ডাকি,
'বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।'
ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম, '' বাছা শোও''
সেই শোয়া তার শেষ শোয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ?
গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে,
তুমি যে কহিলা, 'বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?'
তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে,
সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে!
তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু-হাতে জড়ায়ে ধরি,
তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিনমান ভরি।
গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে,
ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শূন্য-মাঠখানি ভরে।
পথ দিয়া যেতে গেঁয়ে পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ,
চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক।
আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি,
হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি।
গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা,
চোখের জলের গহিন সায়রে ডুবায়ে সকল গা।
উদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি,
কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি।
তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ,
হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ।
মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, 'বাছারে যাই,
'বড় ব্যথা র'ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই;
দুলাল আমার, জাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে,
কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।'
ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে,
কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে।
ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল, 'আমার কবর গায়
স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।'
সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে,
পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এই খানে তরু-ছায়,
গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে পায়।
জোনাকি মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো,
ঝিঁঝিঁরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো।
হাতজোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, 'রহমান খোদা! আয়;
ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!'
এই খানে তোর বু-জির কবর, পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বুনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরেরর বু-জিরে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।
খবরের পর খবর পাঠাত, 'দাদু যেন কাল এসে
দু-দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।'
শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে,
অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে।
সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি,
কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি।
বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন,
কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ-বীণ!
কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে,
এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে!
ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে কেউ বাসে নাই ভালো,
কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো।
বনের ঘুঘুরা উহু-উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন,
পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ।
হাতজোড়া করি দোয়া মাঙ দাদু, 'আয় খোদা! দয়াময়!
আমার বু-জির তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়!'
হেথায় ঘুমায়ে তোর ছোট ফুপু, সাত বছরেরর মেয়ে,
রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে।
ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা,
অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা!
ফুলের মতোন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে,
তোমার দাদীর ছবিখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে।
বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা,
রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা।
একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে,
ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায়ে পথের 'পরে।
সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে,
কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে।
আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি,
দাদু! ধর- ধর- বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি।
এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু,
কথা কস নাকো, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু।
আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে,
দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে!
ওই দুর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে,
অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।
মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর,
মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূর।
জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর, 'আয় খোদা! রহমান!
ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত-প্রাণ।#কবর ______জসীমউদ্দীন ----------------------------- এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মত মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা। সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি লাঙল লইয়া ক্ষেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি। যাইবার কালে ফিরে ফিরে তারে দেখে লইতাম কত এ-কথা লইয়া ভাবী-সাব মোরে তামাশা করিত শত। এমনি করিয়া জানি না কখন জীবনের সাথে মিশে ছোট-খাটো তার হাসি-ব্যথা মাঝে হারা হয়ে গেনু দিশে। বাপের বাড়িতে যাইবার কালে কহিত ধরিয়া পা ''আমারে দেখিতে যাইও কিন্তু, উজান-তলীর গাঁ।'' শাপলার হাটে তরমুজ বেচি দু-পয়সা করি দেড়ী, পুঁতির মালার একছড়া নিতে কখনও হত না দেরি। দেড় পয়সার তামাক এবং মাজন লইয়া গাঁটে, সন্ধ্যাবেলায় ছুটে যাইতাম শ্বশুরবাড়ির বাটে! হেসো না-হেসো না- শোন দাদু, সেই তামাক মাজন পেয়ে দাদী যে তোমার কত খুশি হত দেখতিস যদি চেয়ে! নথ নেড়ে নেড়ে কহিত হাসিয়া, ''এতদিন পরে এলে, পথ পানে চেয়ে আমি যে হেথায় কেদে মরি আঁখিজলে''। আমারে ছাড়িয়া এত ব্যথা যার কেমন করিয়া হায়, কবর দেশেতে ঘুমায়ে রয়েছে নিঝঝুম নিরালায়! হাতজোড় করে দোয়া মাঙ- দাদু, 'আয় খোদা দয়াময়, আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নসিব হয়।' তারপর এই শূন্য জীবনে কত কাটিয়াছি পাড়ি যেখানে যাহার জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি। শত কাফনের শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি, গণিয় গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি। এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে, গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে। মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক, আয়- আয় দাদু, গলাগলি ধরি- কেঁদে যদি হয় সুখ। এইখানে তোর বাপজি ঘুমায়, এইখানে তোর মা, কাঁদছিস তুই? কী করিব দাদু! পরাণ যে মানে না। সেই ফাল্গুনে বাপ তোর আসি কহিল আমারে ডাকি, 'বা-জান, আমার শরীর আজিকে কী যে করে থাকি থাকি।' ঘরের মেঝেতে সপটি বিছায়ে কহিলাম, '' বাছা শোও'' সেই শোয়া তার শেষ শোয়া হবে তাহা কি জানিত কেউ? গোরের কাফনে সাজায়ে তাহারে চলিলাম যবে বয়ে, তুমি যে কহিলা, 'বা-জানরে মোর কোথা যাও দাদু লয়ে?' তোমার কথার উত্তর দিতে কথা থেমে গেল মুখে, সারা দুনিয়ার যত ভাষা আছে কেঁদে ফিরে গেল দুখে! তোমার বাপের লাঙল-জোয়াল দু-হাতে জড়ায়ে ধরি, তোমার মায়ে যে কতই কাঁদিত সারা দিনমান ভরি। গাছের পাতারা সেই বেদনায় বুনো পথে যেত ঝরে, ফাল্গুনী হাওয়া কাঁদিয়া উঠিত শূন্য-মাঠখানি ভরে। পথ দিয়া যেতে গেঁয়ে পথিকেরা মুছিয়া যাইত চোখ, চরণে তাদের কাঁদিয়া উঠিত গাছের পাতার শোক। আথালে দুইটি জোয়ান বলদ সারা মাঠ পানে চাহি, হাম্বা রবেতে বুক ফাটাইত নয়নের জলে নাহি। গলাটি তাদের জড়ায়ে ধরিয়া কাঁদিত তোমার মা, চোখের জলের গহিন সায়রে ডুবায়ে সকল গা। উদাসিনী সেই পল্লী-বালার নয়নের জল বুঝি, কবর দেশের আন্ধার ঘরে পথ পেয়েছিল খুঁজি। তাই জীবনের প্রথম বেলায় ডাকিয়া আনিল সাঁঝ, হায় অভাগিনী আপনি পরিল মরণ-বিষের তাজ। মরিবার কালে তোরে কাছে ডেকে কহিল, 'বাছারে যাই, 'বড় ব্যথা র'ল, দুনিয়াতে তোর মা বলিতে কেহ নাই; দুলাল আমার, জাদুরে আমার, লক্ষী আমার ওরে, কত ব্যথা মোর আমি জানি বাছা ছাড়িয়া যাইতে তোরে।' ফোঁটায় ফোঁটায় দুইটি গণ্ড ভিজায়ে নয়ন-জলে, কী জানি আশিস করে গেল তোরে মরণ-ব্যথার ছলে। ক্ষণপরে মোরে ডাকিয়া কহিল, 'আমার কবর গায় স্বামীর মাথার মাথালখানিরে ঝুলাইয়া দিও বায়।' সেই সে মাথাল পচিয়া গলিয়া মিশেছে মাটির সনে, পরাণের ব্যথা মরে নাকো সে যে কেঁদে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে। জোড়মানিকেরা ঘুমায়ে রয়েছে এই খানে তরু-ছায়, গাছের শাখারা স্নেহের মায়ায় লুটায়ে পড়েছে পায়। জোনাকি মেয়েরা সারারাত জাগি জ্বালাইয়া দেয় আলো, ঝিঁঝিঁরা বাজায় ঘুমের নূপুর কত যেন বেসে ভালো। হাতজোড় করে দোয়া মাঙ দাদু, 'রহমান খোদা! আয়; ভেস্ত নসিব করিও আজিকে আমার বাপ ও মায়!' এই খানে তোর বু-জির কবর, পরীর মতন মেয়ে, বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বুনিয়াদি ঘর পেয়ে। এত আদরেরর বু-জিরে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে, হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে। খবরের পর খবর পাঠাত, 'দাদু যেন কাল এসে দু-দিনের তরে নিয়ে যায় মোরে বাপের বাড়ির দেশে।' শ্বশুর তাহার কসাই চামার, চাহে কি ছাড়িয়া দিতে, অনেক কহিয়া সেবার তাহারে আনিলাম এক শীতে। সেই সোনামুখ মলিন হয়েছে ফোটে না সেথায় হাসি, কালো দুটি চোখে রহিয়া রহিয়া অশ্রু উঠিছে ভাসি। বাপের মায়ের কবরে বসিয়া কাঁদিয়া কাটাত দিন, কে জানিত হায়, তাহারও পরাণে বাজিবে মরণ-বীণ! কী জানি পচানো জ্বরেতে ধরিল আর উঠিল না ফিরে, এইখানে তারে কবর দিয়েছি দেখে যাও দাদু! ধীরে! ব্যথাতুরা সেই হতভাগিনীরে কেউ বাসে নাই ভালো, কবরে তাহার জড়ায়ে রয়েছে বুনো ঘাসগুলি কালো। বনের ঘুঘুরা উহু-উহু করি কেঁদে মরে রাতদিন, পাতায় পাতায় কেঁপে উঠে যেন তারি বেদনার বীণ। হাতজোড়া করি দোয়া মাঙ দাদু, 'আয় খোদা! দয়াময়! আমার বু-জির তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়!' হেথায় ঘুমায়ে তোর ছোট ফুপু, সাত বছরেরর মেয়ে, রামধনু বুঝি নেমে এসেছিল ভেস্তের দ্বার বেয়ে। ছোট বয়সেই মায়েরে হারায়ে কী জানি ভাবিত সদা, অতটুকু বুকে লুকাইয়াছিল কে জানিত কত ব্যথা! ফুলের মতোন মুখখানি তার দেখিতাম যবে চেয়ে, তোমার দাদীর ছবিখানি মোর হৃদয়ে উঠিত ছেয়ে। বুকেতে তাহারে জড়ায়ে ধরিয়া কেঁদে হইতাম সারা, রঙিন সাঁঝেরে ধুয়ে মুছে দিত মোদের চোখের ধারা। একদিন গেনু গজনার হাটে তাহারে রাখিয়া ঘরে, ফিরে এসে দেখি সোনার প্রতিমা লুটায়ে পথের 'পরে। সেই সোনামুখ গোলগাল হাত সকলি তেমন আছে, কী জানি সাপের দংশন পেয়ে মা আমার চলে গেছে। আপন হস্তে সোনার প্রতিমা কবরে দিলাম গাড়ি, দাদু! ধর- ধর- বুক ফেটে যায়, আর বুঝি নাহি পারি। এইখানে এই কবরের পাশে আরও কাছে আয় দাদু, কথা কস নাকো, জাগিয়া উঠিবে ঘুম-ভোলা মোর যাদু। আস্তে আস্তে খুঁড়ে দেখ দেখি কঠিন মাটির তলে, দীন দুনিয়ার ভেস্ত আমার ঘুমায় কিসের ছলে! ওই দুর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে, অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে। মজিদ হইতে আযান হাঁকিছে বড় সকরুণ সুর, মোর জীবনের রোজকেয়ামত ভাবিতেছি কত দূর। জোড়হাতে দাদু মোনাজাত কর, 'আয় খোদা! রহমান! ভেস্ত নসিব করিও সকল মৃত্যু-ব্যথিত-প্রাণ। - আসুন জেনে নেই: পাকুন্দিয়া উপজেলার আয়তন: ১৮০.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৫' থেকে ২৪°২৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৭' থেকে ৯০°৪৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে হোসেনপুর ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে কাপাসিয়া ও মনোহরদী উপজেলা, পূর্বে কটিয়াদি উপজেলা, পশ্চিমে গফরগাঁও উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৩৭২১৮; পুরুষ ১২০৩৮৬, মহিলা ১১৬৮৩২। মুসলিম ২৩২২১০, হিন্দু ৪৮৬০, বৌদ্ধ ১০ এবং অন্যান্য ১৩৮।
জলাশয় প্রধান নদ-নদী: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, বানার, নরসুন্দা, মঙ্গলাহাট; পদ্মকুড়ি বিল, ভরাবিল, কাহেতেরদিয়া বিল, চৈত্যকবালী বিল, বড় নালা বিল, বেজুরনালা বিল,নাওথাঘ্যা বিল দিঘা বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন পাকুন্দিয়া থানা গঠিত হয় ১৯২২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে।
মোট ইউনিয়ন : ১০টি
মৌজা : ৯৭টি এবং
গ্রাম : ১৭২টি
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এগারসিন্দুর ঈসা খাঁর দুর্গ, মুগল আমলের মসজিদ।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় উপজেলা সদরে তারাকান্দি,কোদালিয়া ও কালিয়াচাপরাসহ বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। পাক-হানাদারদের দোসর রাজাকার ও দালালসহ ২০০ জনকে হত্যা করে। মৃতদেহগুলো বর্তমান বিএডিসি ভবন সংলগ্ন স্থানে একত্রে মাটি চাপা দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বদি ‘বীর বিক্রম’ উপাধি লাভ করেন। পাকুন্দিয়া ডিসেম্বর মাসে শত্রুমুক্ত হয়।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩১৫, মন্দির ৫, মাযার ৪টি।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৮.২%; পুরুষ ৪৯.২%, মহিলা ৪৭.২%।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৫), পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৩), হোসেন্দি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৩), জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৬৯), কোদালিয়া এস আই উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০), পাকুন্দিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), মঙ্গলবাড়ীয়া কামিল মাদ্রাসা (১৮০২), তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯১৯)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৬.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৯%, শিল্প ০.৯৩%, ব্যবসা ১০.৮০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৩২%, চাকরি ৫.৮৬%, নির্মাণ ০.৮৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৫০% এবং অন্যান্য ৭.৭৭%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৭.১২%, ভূমিহীন ৩২.৮৮%। শহরে ৫৬.৮৬% এবং গ্রামে ৬৭.৫৮% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, ভুট্টা, গম, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আখ, সরিষা, মিষ্টি আলু, পাট।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫১, গবাদিপশু ৪৪, হাঁস-মুরগি ৬৩, হ্যাচারি ৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৬.৩০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪.৩১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৬৪.৮৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, ময়দাকল, করাতকল, ধানকল, তেলকল, বেকারি, ইটের ভাটা।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ১। পাকুন্দিয়া বাজার ও কুদালিয়া মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, কলা, পেঁপে, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৩.৭৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৪.৫১%, পুকুর ০.৯৭%, ট্যাপ ০.৬৬% এবং অন্যান্য ১৩.৮৬%।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮।
.
তথ্য সুত্র: আদমশুমারী: ২০০১। - আসুন জেনে নেই: পাকুন্দিয়া উপজেলার আয়তন: ১৮০.৫২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°১৫' থেকে ২৪°২৪' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°৩৭' থেকে ৯০°৪৬' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে হোসেনপুর ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা, দক্ষিণে কাপাসিয়া ও মনোহরদী উপজেলা, পূর্বে কটিয়াদি উপজেলা, পশ্চিমে গফরগাঁও উপজেলা।
জনসংখ্যা ২৩৭২১৮; পুরুষ ১২০৩৮৬, মহিলা ১১৬৮৩২। মুসলিম ২৩২২১০, হিন্দু ৪৮৬০, বৌদ্ধ ১০ এবং অন্যান্য ১৩৮।
জলাশয় প্রধান নদ-নদী: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, বানার, নরসুন্দা, মঙ্গলাহাট; পদ্মকুড়ি বিল, ভরাবিল, কাহেতেরদিয়া বিল, চৈত্যকবালী বিল, বড় নালা বিল, বেজুরনালা বিল,নাওথাঘ্যা বিল দিঘা বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন পাকুন্দিয়া থানা গঠিত হয় ১৯২২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে।
মোট ইউনিয়ন : ১০টি
মৌজা : ৯৭টি এবং
গ্রাম : ১৭২টি
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ এগারসিন্দুর ঈসা খাঁর দুর্গ, মুগল আমলের মসজিদ।
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় উপজেলা সদরে তারাকান্দি,কোদালিয়া ও কালিয়াচাপরাসহ বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক-হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। পাক-হানাদারদের দোসর রাজাকার ও দালালসহ ২০০ জনকে হত্যা করে। মৃতদেহগুলো বর্তমান বিএডিসি ভবন সংলগ্ন স্থানে একত্রে মাটি চাপা দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম বদি ‘বীর বিক্রম’ উপাধি লাভ করেন। পাকুন্দিয়া ডিসেম্বর মাসে শত্রুমুক্ত হয়।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ৩১৫, মন্দির ৫, মাযার ৪টি।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৮.২%; পুরুষ ৪৯.২%, মহিলা ৪৭.২%।
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৫), পাকুন্দিয়া আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৩), হোসেন্দি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ (১৯৯৩), জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৬৯), কোদালিয়া এস আই উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১০), পাকুন্দিয়া আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫৮), মঙ্গলবাড়ীয়া কামিল মাদ্রাসা (১৮০২), তারাকান্দি ফাজিল মাদ্রাসা (১৯১৯)।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৬.৯০%, অকৃষি শ্রমিক ২.৮৯%, শিল্প ০.৯৩%, ব্যবসা ১০.৮০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.৩২%, চাকরি ৫.৮৬%, নির্মাণ ০.৮৫%, ধর্মীয় সেবা ০.১৮%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ১.৫০% এবং অন্যান্য ৭.৭৭%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৭.১২%, ভূমিহীন ৩২.৮৮%। শহরে ৫৬.৮৬% এবং গ্রামে ৬৭.৫৮% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, ভুট্টা, গম, আলু, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আখ, সরিষা, মিষ্টি আলু, পাট।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপে, আনারস।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার মৎস্য ৫১, গবাদিপশু ৪৪, হাঁস-মুরগি ৬৩, হ্যাচারি ৫।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৬.৩০ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪.৩১ কিমি, কাঁচারাস্তা ৩৬৪.৮৫ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।
শিল্প ও কলকারখানা চিনিকল, ময়দাকল, করাতকল, ধানকল, তেলকল, বেকারি, ইটের ভাটা।
কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, বুননশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৪, মেলা ১। পাকুন্দিয়া বাজার ও কুদালিয়া মেলা উল্লেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, কলা, পেঁপে, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১৩.৭৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৪.৫১%, পুকুর ০.৯৭%, ট্যাপ ০.৬৬% এবং অন্যান্য ১৩.৮৬%।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৮।
.
তথ্য সুত্র: আদমশুমারী: ২০০১। - তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
আমার বাড়ি নেইতোমার বাড়ি আমার বাড়ি আমার বাড়ি নেই -
-
More Stories